আমাদের বাবা কাকাদের কারুর ব্যবসাতে তেমন এলেম ছিলোনা। প্রায় সবাই সরকারী চাকরী করেই জীবন টা কাটিয়ে গেছেন। জ্যেঠু (প্রিয়বন্ধু) আর ভালকাকা (শ্যামলবন্ধু) ছিলেন ভাইদের মধ্যে ব্যতিক্রম।
শুনেছি চশমার দোকান খোলার আগে জ্যেঠু নাকি একবার দর্জির দোকান খুলেছিলেন। এদিকে বাড়ীর ঠাকুর (রান্নার লোক) এর একটা পাঞ্জাবীর খুব সখ। সে এসে জ্যেঠুকে ধরলো। দাদাবাবু, আপনি আমায় একটা পাঞ্জাবী বানিয়ে দেবেন?
জ্যেঠু বললেন, ঠিক আছে, অসুবিধে নেই। No problem ।
সেই ঠাকুর ছিল একটু সৌখীন মানুষ। সে তার দাদাবাবুর কাছে আব্দারের ভঙ্গীতে বললো পাঞ্জাবী র গলার বোতাম লাগাবার জায়গাটা মাঝামাঝি না হয়ে যেন একটু বাঁ দিকে হয়। ওটা ই নাকি latest fashion!
পাঞ্জাবী তৈরী হয়ে এলো। জ্যেঠু বেশ গর্ব্বের সাথে ঠাকুর কে বললেন নাও, তোমার পাঞ্জাবী। এবার খুশী তো?
কিছুক্ষণ পরে ঠাকুর মুখ শুকনো করে এসে হাজির।
আবার কি হলো?
ঠাকুর বললো, দাদাবাবু হাতা দুটো যে ছোট বড়ো হয়ে গেছে।
জ্যেঠু নাকি খুব বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, তোমার সখ তো কম নয়? বোতাম বাঁ দিকে চাই, আবার হাতা দুটো ও সমান হতে হবে?
বলা বাহুল্য, জ্যেঠুর ওই দোকান টা বেশী দিন চলেনি।